কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ ও ঝুঁকির কারণ গুলো কি
কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ ও ঝুঁকির কারণ গুলো কি? আমরা অনেকেই এই বিষয় গুলো জানিনা। তবে ক্যান্সারের মধ্যে কোলন ক্যান্সার খুবই মারাত্মক। আমাদেরকে ক্যান্সার সম্পর্কে জানতে হলে কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ ও ঝুঁকির কারণ গুলো কি? এ বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে। আপনাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলে কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ ও ঝুঁকির কারণ গুলো কি? সে সম্পর্কে আলোচনা করব।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ ও ঝুঁকির কারণ গুলো কি? সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ ও ঝুঁকির কারণ গুলো কি? জেনে নেওয়া যাক।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ ও ঝুঁকির কারণ গুলো কি
- কোলন ক্যান্সারের কারণ
- কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ
- কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণ গুলো কি
- কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা
- উপসংহার
কোলন ক্যান্সারের কারণ
কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ ও ঝুঁকির কারণ গুলো কি? জানার আগে আমাদেরকে কোলন ক্যান্সারের কারণ সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। ক্যান্সার হল মারাত্মক একটি রোগ। সাধারণত আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে ক্যান্সার আক্রান্ত করতে পারে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম জায়গা হল কোলন ক্যান্সার। কোলন ক্যান্সার হয়ে অনেক মানুষ মারা যায়। তাই চলুন মারাত্মক এই রোগের কারণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ মাসিকের ব্যথা কমানোর ৫টি উপায় - মাসিকের ব্যথা কমানোর ৪টি ওষুধ
১। কোলন ক্যান্সার হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো পরিবেশগত কারণ। আমরা কোন পরিবেশে বাস করছি সাধারণত তার নির্ভর করে। সাধারণত আমাদের মলাশয়ে যে ক্যান্সার হয়ে থাকে তাকেই আমরা করণ ক্যান্সার বলে থাকি। পরিবেশগত কারণ এবং সঠিক খাদ্য গ্রহণ না করার কারণে আমরা কোলন ক্যান্সারের আক্রান্ত হয়।
২। কেউ যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপান করে থাকে তাহলে সে ব্যক্তি কোলন ক্যান্সারের আক্রান্ত হবে। অতিরিক্ত ধূমপান করলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্যান্সার আক্রান্ত করতে পারে এগুলোর মধ্যে ফুসফুস এবং কোলন ক্যান্সার অন্যতম।
৩। জিনগত কারণে অর্থাৎ বংশগত কারণে কোলন ক্যান্সার হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনার পরিবারের যদি কারো কোলন ক্যান্সার থাকে অর্থাৎ আপনার মা বাবা অথবা ভাই বোন এদের মধ্যে কারো তাহলে আপনার অথবা আপনার সন্তানের কোলন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
৪। যারা অতিরিক্ত পরিমাণে বাইরের খাবার খেতে পছন্দ করে সাধারণত তাদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বিশেষ করে যদি তেল এবং মসলা জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়া যায় তাহলে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ
আমরা সাধারণত রোগে আক্রান্ত হয় কিন্তু সেই রোগের প্রতি গুরুত্ব দেয় না। যার ফলে ধীরে ধীরে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ ও ঝুঁকির কারণ গুলো কি? এ বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। কারণ অন্যান্য রোগের চাইতে ক্যান্সার রোগ অনেক বেশি মারাত্মক এবং এটি যদি শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যায় তাহলে মৃত্যু অনিবার্য।
সেক্ষেত্রে আগে থেকেই আমাদেরকে কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো জেনে এ রোগটি নির্ণয় করতে হবে। যদিও এই রোগের তেমন কোন পূর্ব লক্ষণ থাকে না। তবে এ রোগের বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় এগুলো দেখে আপনি কোলন ক্যান্সার রোগ নির্ণয় করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে চলুন কোলন ক্যান্সারের লক্ষণগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১। কোলন ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হল পায়খানার সঙ্গে রক্ত বের হওয়া। আবার অনেকেই ক্ষেত্রেই দেখা যায় প্রচন্ড পরিমাণে পেটে ব্যথা হয়।
২। কোলন ক্যান্সারের আরো একটি প্রধান লক্ষণ হল মলত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন হওয়া। এ ছাড়া শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দেওয়া এগুলো এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ।
৩। অতিরিক্ত রক্তশূন্যতা হলো কোলন ক্যান্সারের প্রধান লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। কারণ এই সময় আমাদের শরীর থেকে অনেক রক্ত বের হয়ে যায়। যার কারণে শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।
৪। মলত্যাগের সময় মলদ্বারে অনেক ব্যথা অনুভূত হওয়া এবং রক্ত বের হওয়া। এছাড়া খাবার প্রতি অরুচি। শরীরের ওজন অনেক কমে যাওয়া এইগুলো প্রাথমিক লক্ষণ।
কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণ গুলো কি
যাদের ক্ষেত্রে উপরে উল্লেখ করা লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় সাধারণত তাদের ক্ষেত্রে কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ ও ঝুঁকির কারণ গুলো কি? এই বিষয়গুলো জেনে রাখা উচিত। কারণ ক্যান্সারের মধ্যে কোলন ক্যান্সার হল খুবই মারাত্মক এবং মরণব্যাধি একটি রোগ। তাই আমাদেরকে এ রোগ অবহেলা না করে কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ ও ঝুঁকির কারণ গুলো কি? এ বিষয়গুলো জেনে রাখা উচিত।
আরো পড়ুনঃ ব্লাড ক্যান্সার হলে কি হয় - ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তির ১০ টি উপায়
কোলন ক্যান্সার যেকোনো বয়সের রোগীদের হতে পারে। তবে অল্প বয়সের মানুষেরা কোলন ক্যান্সারে অনেক কম আক্রান্ত হয়। ৫০ বছরের বেশি বয়সে মানুষেরা এই রোগের বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে বর্তমান সময়ে কম বয়সীদের মাঝেও এই রোগের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ছে।
যারা ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার বেশি খায় এবং অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবার খায় সাধারণত তাদের ক্ষেত্রে এই রোগটি বেশি প্রকাশ পায়। আপনি যদি এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই খাবার গুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। যদি তরুণদের মাঝে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ভাবনা বাড়ে তাহলে তাদের বাচ্চা জন্মদানের সক্ষমতা এবং যৌন ক্ষমতা অনেক কমে যায়।
কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা
বর্তমান সময়ে ক্যান্সারের চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে আপনি যদি প্রথমের দিকে আপনার যেকোনো ধরনের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নির্ণয় করতে পারেন তাহলে খুব সহজে এই রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন। কিন্তু যদি শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যায় তাহলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আমরা যেহেতু কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ ও ঝুঁকির কারণ গুলো কি? এগুলো জেনেছি সেও তো আমাদেরকে কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
যদি আপনার কোলন ক্যান্সার হয়ে থাকে এবং আপনি চিকিৎসা নিতে চান তাহলে এর একটি মাত্র চিকিৎসা রয়েছে সেটি হলো অপারেশন। তবে কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা অর্থাৎ অপারেশন শুরু করার আগে বা পরে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। অপারেশনের সময় ক্যান্সার কোষ গুলো ধ্বংস করার জন্য রেডিওথেরাপির ব্যবহার করা হয়।
ক্যান্সার যেহেতু একটি কঠিন রোগ তাই আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। নিজেদের জীবনযাত্রার দিকে নজর দিতে হবে এবং যদি এই রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে উপযুক্ত চিকিৎসা নিতে হবে। সঠিক সময় চিকিৎসা না হলে এই রোগটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। যদি ওপরের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় তাহলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ ও ঝুঁকির কারণ গুলো কিঃ উপসংহার
কোলন ক্যান্সারের কারণ, কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ, কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণ গুলো কি? কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্পর্কে সকলের জেনে রাখা উচিত। বিশেষ করে যারা বাইরের খাবার বেশি খায় এবং এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে সাধারণত তাদেরকে কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ ও ঝুঁকির কারণ গুলো কি? এ বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। আমার প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের খিচুনি হওয়ার ৫টি কারণ - খিঁচুনি হওয়ার ৯টি লক্ষণ
আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে অবশ্যই সেই পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন। এই ধরনের আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। ২০৮৭৬
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url