অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করার ১০ সহজ উপায়

• উপস্থাপনা
• অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করার ১০ সহজ উপায়
• পিরিয়ড না হলে করনীয়
• পিরিয়ডের সময় করণীয়
• উপসংহার

• ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: আপনি যদি মাসিক ঋতুস্রাব নিয়মিত রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রয়োজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে না রাখলে কখনোই আপনি মাসিক ঋতুস্রাব রেগুলেট করতে পারবেন না। সুতরাং মাসিক ঋতুস্রাব নিয়মিত করার ক্ষেত্রে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
• শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন: অনেকেই রয়েছে যারা শুয়ে বসে দিন কাটায় যে সকল মহিলা সারাদিন শুয়ে বসে দিন কাটায় তাদের মাসিক অনিয়মিত হওয়ার সমস্যা গুলো বেশি দেখা দেয়। তাই মাসিক নিয়মিত রাখতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে শরীরকে ভাবে সক্রিয় থাকতে হবে এবং নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে।
• সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন: মাসিক ঋতুস্রাব নিয়মিত রাখার আরেকটি কার্যকর উপায় হল সুষম খাদ্য গ্রহণ করা। আপনি যদি সুষম খাদ্য গ্রহণ না করেন, তাহলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের ঘাটতি থাকে। আর শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি থাকলে মাসিক অনিয়মিত হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে সুষমা খাদ্য খেতে হবে।

• চায়ের সাথে হলুদ মিশ্রিত করুন: মাসিক ঋতুস্রাব অনিয়মিত হলে তা নিয়মিত করার জন্য চায়ের সাথে হলুদের গুঁড়া মিশ্রিত করে খেতে পারেন। চায়ের সাথে হলুদের গুঁড়া মিশ্রিত করে খেলে তা মাসিক নিয়মিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। 
• অতিরিক্ত ক্যাফেইন পরিহার করুন: অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফিন গ্রহণ করলে তা মাসিক ঋতুস্রাব অনিয়মিত করে ফেলতে পারে, তাই যদি আপনি মাসিক স্বাভাবিক রাখতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে অতিরিক্ত ক্যাফেইন পরিহার করতে হবে। 
• হরমোনাল জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করুন: অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করার যে সকল উপায় রয়েছে, তার মধ্যে থেকে অন্যতম আরেকটি কার্যকর উপায় হলো হরমোনাল জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করা। হরমোনাল জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করলে অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত হয়। 
• চায়ের সাথে আদা মিশ্রিত করুন: চা খাওয়ার সময় চায়ের সাথে সামান্য পরিমাণে আদা মিশ্রিত করে নিয়মিত পান করলে তা অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করতে সহায়তা করে। তাই চায়ের সাথে আদা মিশ্রিত করে সেবন করা যেতে পারে। 
• পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম নিশ্চিত করুন: পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।  সুতরাং যদি আপনার পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত সময় যদি আপনি ঘুমান, তাহলে তা আপনার অনিয়মিত মাসিক রেগুলেট করতে সহায়তা করবে। 
• ভেষজ ঔষধ সেবন করুন: পিরিয়ড যদি না হয় তাহলে মাসিক হতে বিলম্ব হয় কিংবা একেবারে যদি বন্ধ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ভেষজ ঔষধ সেবন করতে হবে। আপনি যদি সঠিক নিয়মে ভেষজ ঔষধ সেবন করেন, তাহলে আশা করা যায় এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। 
• মানসিক চাপ মুক্ত থাকুন: বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় মাসিক ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। তাই যদি এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে। দুশ্চিন্তা করলে তা শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করবে। তাই যদি আপনি মাসিক ঋতুস্রাব নিয়মিত রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে।

পিরিয়ড না হলে করনীয়

• অপেক্ষা করুন: অনেক সময় বিভিন্ন কারণবশত মাসিক ঋতুস্রাব শুরু হতে দু'একদিন কম বেশি হতে পারে। এরকম হঠাৎ করে দু একদিন কম বেশি হলে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই, বরং অপেক্ষা করা উচিত। আপনি যদি অধিক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, সেক্ষেত্রে তা আপনার মানসিক অশান্তির কারণ হতে পারে। দু-একদিন কম বেশি হওয়া তেমন জটিল কোন সমস্যা নয়। তাই পেরেশানি হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়, বরং অপেক্ষা করতে হবে। 
• প্রেগনেন্সি টেস্ট করুন: মাসিক ঋতুস্রাব না হওয়ার সব থেকে বড় কারণ হলো গর্ভধারণ। যদি আপনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন, তাহলে কিন্তু আপনার মাসিক ঋতুস্রাব হবে না। তাই যদি আপনি দেখতে পান যে নির্দিষ্ট সময়ে আপনার মাসিক শুরু হচ্ছে না তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হবে। প্রেগনেন্সি টেস্ট করলেই বুঝতে পারবেন যে আপনি গর্ভবতী হয়েছেন কিনা।

• হেলদি ডায়েট নিশ্চিত করুন: পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি উপযুক্ত এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ না করেন, তাহলে আপনার এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই যদি মাসিক না হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে হেলদি ডায়েট নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিদিন পুষ্টিযুক্ত খাবার খেতে হবে। 
• পর্যাপ্ত পানি পান করুন: মাসিক নিয়মিত করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে শরীর হাইড্রেট থাকে, আর শরীর হাইড্রয়েড থাকলে মাসিক নিয়মিত হয়। 
• ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন: সমস্যা যদি অধিক জটিল হয়ে যায়, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। কেননা সমস্যা বেশি হলে যদি আপনি উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ না করেন, তাহলে কিন্তু সমস্যা আরও জটিল হতে পারে। 

পিরিয়ডের সময় করণীয়

• প্যাড ব্যবহার করুন।
• যথাসময়ে প্যাড পরিবর্তন করুন।
• পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন।
• পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
• ব্যালেন্স ডায়েট গ্রহণ করুন।
• পেটের ব্যথা হলে হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করুন।

• ওভার দ্যা কাউন্টার ঔষধ সেবন করুন।
• বিশ্রাম গ্রহণ করুন।
• ভারী কাজ পরিহার করুন।
• পিরিয়ডের হিসাব রাখুন।
• ঢিলেঢালা পোশাক পরিহার করুন।